
আফ্রিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মিলনকে চোখের পানিতে বিদায়
অনলাইন ডেস্ক:
পরিবারে স্বচ্ছলতা আনতে ১৩ বছর আগে আফ্রিকায় যান আনিসুল হক মিলন (৩০)। দীর্ঘ এই সময়ে একবারও দেশে আসেননি। কিছু দিন আগে পারিবারিকভাবে মোবাইল ফোনে বিয়ে করেন মিলন। কিছু দিনের মধ্যে দেশে ফিরে ধুমধাম করে নববধূকে ঘরে তোলার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই দূর প্রবাসে সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৪ মার্চ) সকাল ১০টায় দেশে এনে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাতুভূঁঞা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাসুদ ও অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান সেলিমসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এর আগে শুক্রবার তার লাশ দেশে পৌঁছে। সকল প্রক্রিয়া শেষ করে বিমানবন্দর থেকে রওয়ানা দিয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ি পৌঁছলে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।
মিলন দাগনভূঁঞা উপজেলার মাতুভূঁঞা ইউনিয়নের রামানন্দপুর গ্রামের মাঝি বাড়ির বাহার উদ্দিন মিয়ার ছেলে। সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় আফ্রিকার জর্জ হাসপাতালে মারা যান তিনি।
এর আগে ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন থেকে বাংলাদেশে আসার জন্য জোহানেসবার্গ বিমানবন্দরে আনিসুর রহমান মিলনকে এগিয়ে দিতে আসেন। পথে সড়ক দুর্ঘটনায় চার বন্ধু ও বন্ধুর ছেলেসহ ঘটনাস্থলে পাঁচজন মারা গেলেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তিনি। পরে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেশটির জজ হাসপাতালে সোমবার রাতে মারা যান মিলন।
মিলনের ছোট ভাই রিমন বলেন, আফ্রিকা যাওয়ার পর ১৩ বছরে একবারও দেশে আসেননি মিলন ভাই। মাত্র অল্প কিছু দিন আগে ভাইয়ের সাথে খালাত বোন শাহেদা আক্তারের পারিবারিকভাবে মোবাইল ফোনে বিয়ে হয়। কিছু দিনের মধ্যে দেশে ফিরে আনুষ্ঠানিকভাবে নববধূকে ঘরে তোলার কথা ছিল। কিন্তু সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল।