জেলা সংবাদ

সংসদ ভেঙে নির্দলীয় সরকারের অধিনে নির্বাচন দিতে হবে: বাম জোট

সিলেট প্রতিনিধি:

বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্র ঘোষিত দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাম গণতান্ত্রিক জোট সিলেট জেলা শাখার সমন্বয়ক ও বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলা শাখার আহবায়ক কমরেড উজ্জ্বল রায়ের সভাপতিত্বে ও বাসদ নেতা প্রণব জ্যোতি পালের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি সিলেট বিভাগীয় সম্পাদক এডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমন, বাসদ জেলা সমন্বয়ক আবু জাফর, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলার সদস্য মোখলেসুর রহমান,ভারচুয়ালি যোগ দেন কমিউনিস্ট পার্টি অব অস্ট্রেলিয়া সাপোর্টার ফোরমের সমন্বয়ক জহির উদ্দিন আহমেদ মাসুদ, মহিউদ্দিন আহমেদ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডাঃ হরিধন দাস প্রমুখ। বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে চরম ফ্যাসিবাদী শাসন চলছে, নির্মম ভাবে দমন করা হচ্ছে সকল প্রকার বিরোধী মত,কেড়ে নেয়া হচ্ছে সভা-সমাবেশ, মিছিল করার মত সাংবিধানিক অধিকার। বিনা অভিযোগে গ্রেপ্তার, বিনা বিচারে শাস্তি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা, হামলা, গুম-খুন-নির্যাতন আজ সরকারের বিরোধিতাকারীদের প্রতিদিনের ঘটনায় দাড়িয়েছে। আওয়ামীলীগ গত ১৪ বছরের শাসনে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ভাবে দেশকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। দেশের নাগরিকদের রাজনৈতিক অধিকার অর্থাৎ ভোট দেয়ার অধিকার নেই। অর্থনৈতিকভাবে শ্রমিক, কৃষক, দিনমজুর, নিম্নমধ্যবিত্ত,মধ্যবিত্তদের টিকে থাকার কোন উপায় নেই। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। তার উপর দফায় দফায় বাড়ছে জ্বালানি তেল,গ্যাস,বিদ্যুৎ সহ সকল পরিষেবার মূল্য। দেশের নির্বাচন ব্যাবস্থা নিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১৪ সালে বিনা ভোটে ও ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করার মাধ্যমে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করে, এজন্য এ সরকারের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার বা দলীয় সরকারের অধিনে কোন নির্বাচন নয়।নির্বাচন কালীন দল নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধিনে কালোটাকা, পেশীশক্তি, সাম্প্রদায়িকতা,আঞ্চলিকতা মুক্ত পরিবেশে নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও ঋন খেলাপী -ব্যাংক ডাকাত,অর্থ পাচারকারী, কালোটাকার মালিক, দূর্নীতিবাজদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা, না ভোটের বিধান ও প্রতিনিধি প্রত্যাহার সহ নির্বাচনী ব্যাবস্থার আমূল সংস্কার করতে হবে। সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন ব্যাবস্থা চালু করতে হবে। নেতৃবৃন্দ এই দূঃশাসনের কবল থেকে বাঁচার জন্য আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহবান জানান।

এ সম্পর্কিত আরও খবর

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button