
প্রবাসের খবর
অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
মোহাম্মাদ জুমান হোসেন:অস্ট্রেলিয়া থেকে।
বিএনপি ভয়ভীতিমুক্ত একটি বাংলাদেশ গড়ার কাজ করছে- বিএনপি ক্ষমতায় আসলে যুবসমাজের জন্য কর্মমুখী শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল উদ্দেশ্য ছিল আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জন ও অসাম্প্রদায়িক, কল্যাণমুখী, মানবিক, প্রগতিশীল স্বতন্ত্র গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। মানুষের মৌলিক অধিকার ও ন্যায়সংগত অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় প্রতিষ্ঠা, শোষণ, বৈষম্য, অন্যায়ের অবসান ঘটিয়ে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত একটি সুখী-সমৃদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন ছিল স্বাধীনতার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য। জাতীয় জীবনে স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য অপরিসীম। এই দিনটি বাঙালির জীবনে বয়ে আনে একই সঙ্গে আনন্দ-বেদনার অম্ল-মধুর অনুভূতি। একদিকে হারানোর কষ্ট অন্যদিকে প্রাপ্তির আনন্দ। তবে শেষ পর্যন্ত সর্বস্ব হারিয়েও স্বাধীনতা প্রাপ্তির অপার আনন্দই বড় হয়ে ওঠে প্রতিটি বাঙালির কাছে। গৌরবোজ্জ্বল এই দিনটি প্রতিবছর আসে আত্মত্যাগ ও আত্মপরিচয়ের বার্তা নিয়ে। স্মরণ করিয়ে দেয় আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য। নব উদ্যমে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা ও দিকনির্দেশনা নিয়ে আসে এই দিন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটি, বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় অনলাইন আলোচনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই কথা বলেন।

২৭ মার্চ , ২০২২ অস্ট্রেলিয়া সময় সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটি, অস্ট্রেলিয়ার আহ্ববায়ক মনিরুল হক জর্জের সভাপতিত্বে এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব এবং বিএনপি কেন্দ্রীয় অন্তরর্জাতিক সম্পর্ক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ রাশেদুল হকের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির এক্টিং চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর । বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য এবং স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম। অনুষ্টানে শুবেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শিবলী আবদুল্লাহ। অনুষ্টানে শুবেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অস্ট্রেলিয়ান এমপি টনি বার্ক, ডেভিড সোয়রেজ, সেনেটার জেনেট রাইছ, লি হেমান,এবিগাল বয়েট,এডাম এবং মেহরিন ফারিকি। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অষ্ট্রেলিয়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহম্মেদ খান, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির যুগ্ম আহ্ববায়ক যথাক্রমে রুহুল আমিন, এ এফ এম তাওহীদুল ইসলাম, এডভোকেট শিবলু গাজী, রিয়াজ উদ্দিন মনি, ফেরদৌস অমি, আশরাফুল ইসলাম, ইয়াসির আরফাত সবুজ,জাহাঙ্গীর আলম, আবুল হাসান,সেলিম লকিয়ত, সুলতান মোহাম্মদ জয়।
মো. আব্দুল মতিন উজ্জল, রাশেদ খান । এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট দিদারুল ইসলাম, ডাক্তার আব্দুল ওয়াহাব, ডাক্তার মো. মনিরুজামান। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফজলুল হক শফিক, ডা. মোহাম্মদ শাহজাহান, জিয়াউল হক ভূইয়া, নজরুল ইসলাম নাফিস, সাইফুল ইসলাম বিটু, খন্দকার আব্দুল হক, এস এম মাহমুদ জিহাদ, আনোয়ার হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার কামরুল ইসলাম শামীম, মোহাম্মদ জসীম প্রমূখ।