
মাত্র সাতবছর পাঁচ মাস বয়সে কুরআনের হাফেজা হলেন আমাতুল্লাহ্ ওয়ারদাহ
প্রবাসীকাল ডেস্ক:
আমাতুল্লাহ্ ওয়ারদাহ যোগ্য বাবা-মায়ের যোগ্য কন্যা।মাত্র সাতবছর পাঁচ মাস বয়সে পবিত্র কুরআনের হাফেজা হওয়ার গৌরব অর্জন করলেন।২১শে ফেব্রুয়ারী ২০২২ কুরআনের সর্বশেষ সবক শুনান আমাতুল্লাহ। তার বাবা অনলাইন নিউজ পোর্টাল প্রবাসীকাল ডটকমের সম্মানিত সম্পাদক, মদীনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএ্চডি করা মাওলানা যাকারিয়্যা মাহমুদ। ঢাকা মীরপুরের এই বাসিন্দা তার ফেসবুক আইডিতে আনন্দের সাথে লিখেন”মহা মহিম দয়াময় আল্লাহ্ তাআলা আমার উপর এত বেশি অনুগ্রহ করেছেন যে, তা গুনে শেষ করতে পারবো না। এবার তিনি অত্যন্ত করুনা করে আমার ছোট মেয়ে ৭ বছর ৫ মাসের আমাতুল্লাহ ওয়ারদা-কে তাঁর কুরআনুল কারীম অন্তরে ধারণ করার তাওফিক দিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ। আজ সে হিফযুল কুরআনের শেষ সবক শুনিয়েছে।
এ এক এমন প্রাপ্তি যার তুলনা হয় না। এ এক এমন অনুভূতি যা প্রকাশ করা যায় না। এ এক এমন প্রশান্তি যা বলে বুঝানো যায় না। আবেগ আপ্লূত চোখের পানি ধরে রাখতে পারি নি! যেমন পারিন নি আগেও।
এর আগে আমার বড় মেয়ে যাহ্রা-ই-বেহেশতী পবিত্র মদীনায় ৮ বছরে ৮ মাসেরও কম সময়ে হিফয শেষ করেছিলো। আর ওর আম্মু হিফয করেছিলো মদীনায় মাত্র ৪ মাসে।
জীবনের যেকোনো প্রাপ্তি ও সফলতার চেয়ে কুরআনের এ প্রাপ্তি আমার কাছে অনেক বড়, অনেক সুখের, অনেক সম্মানের”।
আমাতু্ল্লাহর মা আরেক মহিয়সী নারী বিবাহিত জীবনে সংসার চালিয়েও পবিত্র মদীনা মুনাওয়ারাতে বসে মাত্র চার মাসে কুরআনের হাফেজা হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
আল্লাহর কাছে দোয়া করি।যাতে ঘরে ঘরে কুরআনের হাফেজ/হাফেজা থাকে। আর তা সংরক্ষিত থাকে প্রত্যেক নারীর কলবে। হাফেজা আমাতুল্লাহ ওয়ারদাহ ও তার পরিবারের সদস্যদের জন্য দোয়া করি।