
স্বাধীনতার ৫৬তম বছর উদযাপন করেছে সিঙ্গাপুর
অনলাইন ডেস্ক:
সিঙ্গাপুরের জাতীয় দিবসে মেরিনা বে ফ্লোটিং প্ল্যাটফর্মে ৬০০ ইউনিফর্মধারী অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে একটি স্কেল-ডাউন আনুষ্ঠানিক প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। ৯টি ইউনিফর্মধারী গ্রুপ এবং ১২টি সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংগঠনের আরও ২০০ জন অংশগ্রহণ করেছিল জাতীয় দিবসের প্যারেডে।
সোমবার কঠোর নিরাপত্তা এবং জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাসহ স্বাভাবিক সামরিক নির্ভুলতার সাথে কার্যপ্রণালী উন্মোচিত হয়। কোভিড পরিস্থিতিতে মহামারির মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্যারেড পর্যবেক্ষণ করছিলেন দেশটির রাষ্ট্রপতি হালিমা ইয়াকুব, রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার চতুর্থ জাতীয় দিবসের কুচকাওয়াজে উপস্থিত হয়েছিলেন।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং, ক্যাবিনেট মন্ত্রী এবং অন্যান্য সংসদ সদস্যরা প্রথাগত লাল-সাদা পোশাকে সজ্জিত হয়েছিলেন। তারা নিরাপদ দূরত্বের নির্দেশিকা অনুসারে পৃথকভাবে বসেছিলেন।
রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, এমপি এবং ১০০ জন লোকের মাঝখানে একটি অংশ বাদে দর্শকের বসার জায়গাগুলো খালি ছিল। সিঙ্গাপুরিয়ান, যারা করোনাকালীন সামনের সারিতে কাজ করেছেন বা অপরিহার্য ভূমিকায় রয়েছেন অথবা মহামারির মধ্যে কমিউনিটির স্বেচ্ছাসেবকসহ মিডিয়ার কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় দিবস উপলেক্ষে নিরাপত্তার অতিরিক্ত সতর্কতা নেওয়া হয়েছিল। অংশগ্রহণকারীদের নিয়মিত কোভিড পরীক্ষার আওতায় আনা হয়েছিল এবং তাদের সবাইকে সম্পূর্ণরূপে টিকা দেওয়া হয়েছিল, সমস্ত অংশগ্রহণকারী এবং দর্শকদের জন্য কঠোর নিরাপদ দূরত্বের ব্যবস্থাও ছিল।
জনসমাগম যাতে সৃষ্টি না হয়, সে জন্য মেরিনা বে এলাকার কিছু অংশ জনসাধারণের জন্য মধ্যরাত থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বন্ধ ছিল। আয়োজকরা সবাইকে বাসায় থাকার জন্য উৎসাহিত করার চেষ্টা করেছিলেন। সকাল ৫.৫০ মিনিটে কুচকাওয়াজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে ছয়টি এফ-১৫ এসজি যুদ্ধবিমান উড়ে যায়।
এর আগে, সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং, রবিবার তার জাতীয় দিবসের ভাষণে সিঙ্গাপুরের বসবাসরত সবাইকে শুভেচ্ছা জানান এবং বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বিক বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করে দিকনির্দেশনা প্রধান করেন।